
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ দেশকে ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ আজ অধিকারহারা, তাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলো ধুলায় লুটিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশে এখন ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার।
তিনি বলেন, চোখের সামনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে কেউ যাতে সাহসী না হয় সে জন্য ক্ষমতাসীন সরকার হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের তৎপরতা সীমাহীন মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে।
গতকাল সোমবার দলটির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে বিরোধী দল ও মত দমনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরামহীন গতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরির মাধ্যমে মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক দমননীতির অংশ। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন-পীড়ন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও শেষ হয়নি, বরং তীব্র তা গতিতে চলছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, সকল অপকর্ম ও দুঃশাসনের জন্য বর্তমান সরকারকে জনগণের নিকট জবাবদিহি করার সময় অত্যন্ত সন্নিকটে। জনগণ আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার পুণরুদ্ধারের জন্য স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অসত্য মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।

