

জগদ্বিখ্যাত দাঈ মুবাল্লীগে ইসলাম মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের কয়েকটি খাছ নসিহত-
চার জায়গাতে চার জিনিসের হেফাজত করা খুবই জরুরী-
১. মজলিসে জবানের;
২.বাজারে চোখের;
৩.দস্তারখানায় পেটের;
৪. নামাজে দেমাগের।
৪টি জিনিস যা খুবই সর্তকতার সাথে সর্বাবস্হায় হেফাজত করা ফরজ-
১. চোখের হেফাজত;
২. জবানের হেফাজত;
৩. কানের হেফাজত;
৪. দ্বীলের হেফাজত (শিরিক থেকে পাক রাখা)
দৈনিক ৪টি কাজ অবশ্যই করা চাই-
১. প্রতিদিন তেলাওয়াত;
২. প্রতিদিন দাওয়াতের মেহনত;
৩.দৈনিক লম্বা সময় প্রাণ ভরে দোয়া করা;
৪.শেষ রাতে তাহাজ্জুদের এহতেমাম করা।
.
৪টি কাজের এহতেমাম ছাড়া কখনও বুযুর্গি লাভ করা সম্ভব নয়-
১. তাকবিরে উলা;
২. মেসওয়াক;
৩. নফলিয়াতের এহতেমাম;
৪. সকাল বিকাল তিন তাছবিহ আদায়।
৪টি কারনে দীনের উপর চলা সম্ভব হয়না-
১. বিলাসিতা;
২. গাফলাতি;
৩. লৌকিকতা;
৪. সেচ্চাচারিতা।
চারটি জজবার কুরবানী না হলে দীনের হাকীকত কখনও আসবে না-
১. আরামের জজবা;
২. মালের জজবা;
৩. বড়ত্বের জজবা;
৪. খাহেশাতের জজবা।
বললেন , প্রত্যেক ঈমান ওয়ালার ৪টি কাজ জরুরী-
১. ঈমানকে শিখা -দাওয়াতের দ্বারা
২. ঈমানকে পাকানো-কষ্ট মুজাহাদার দ্বারা
৩. ঈমানকে বাঁচানো- আখলাকের দ্বারা
৪. ঈমানকে ছড়ানো-হিজরতের দ্বারা।
তিনি আরো বললেন, যখন পরস্পরে বিবেদ তৈরি হবে তখন আর কোন আমলই আসমানে উঠবে না । তাই পারস্পারিক মহব্বত আর ঐক্য প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরুরী। ইজতেমাইয়্যাতের জন্য চারটি কাজ করতে হবে-
১. বিনয়, ধৈর্য ও ক্ষমা করা;
২. পরামর্শ করে কাজ করা;
৩. অর্থ ও স্বার্থের চিন্তা বাদ দিতে হবে;
৪. ব্যক্তিত্ব , হছদ ও অহংকার ত্যগ করা।
বিদায় বেলা সর্বশেষে দুটি নসিহত করলেন, তার মধ্যে ১টি হল দ্বীনের যাবতীয় কাজে ৪টি বিষয়কে অবশ্যই একত্রে রাখতে হবে, দাওয়াত, তালিম, জিকির ও জেহাদ।১. দাওয়াত: তালিম, জিকির, জেহাদ ছাড়া ক্যনভাসার।
২. তালিমঃ জিকির, জিহাদ ও দাওয়াত ছাড়া
গ্রীজার পার্দ্রী।
৩. জিকির (তাযকীয়া) : দাওয়াত, তালিম, জেহাদ ছাড়া সন্নাসী।
৪. জিহাদ: দাওয়াত, তালিম (শরীয়ত) ও জিকির ছাড়া ধোকাবাজী।
আল্লাহ তা’য়ালা সবাইকে নসীহতগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।