
পাবলিক ভয়েস: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী তারা বিশ্বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে।
প্রথমে তারা বিকাল ৫টায় শহীদ মিনার চত্বরে বনানীতে নিহতদের স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন করে। তারপর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক দফা এক দাবি ভিসি তুই কবে যাবি, আমরা আছি থাকবো লড়াই করে বাচবো ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয় শহীদ মিনার চত্বর।
তারপরই তারা সমস্বরে ভিসির বিরুদ্ধে গান পরিবেশন করে, রণসঙ্গীত পরিবেশন করেন, নাটক মঞ্চস্থ করেন, কবিতা আবৃতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ব্যান্ড “চিলেকোঠার” গান পরিবেশন হয়।
গত ২৯ মার্চ শুক্রবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি একটি লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু সেটি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখান করেন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সিফাতুল ইসলাম বলেন, ভিসি সাধারণ শিক্ষার্থীরদের বোকা বানানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ নয় ক্ষমা চাইতে হবে কিন্তু তিনি ঘুরিয়ে পেচিয়ে দুঃখ প্রকাশ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
আমাদের দাবি ছিল তার প্রকাশ্যে আমাদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে কিন্তু তিনি সেটা করেননি এবং আমাদের শনিবারের ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়ার পরেও ভিসি বা তার প্রতিনিধি আমাদের সাথে দেখা করেননি যার কারণে আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।
তিনি জনসংযোগ অফিসের মাধ্যমে যে প্রেস রিলিজ দিয়েছেন সেটি আমরা প্রত্যাখান করছি এবং আমাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। তারপর ভিসির প্রেস রিলিজটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
		
