বিএনপি ‘বাকশাল’ নিয়ে ব্যস্ত : নাসিম

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: এখন বাকশালের বাস্তবতা নেই, অথচ বিএনপি বাকশাল ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন আ.লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম।

আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সম্ভবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাকশাল একটি দর্শন। সেই দর্শনের কথাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন। কিন্তু বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা কেউ বলেনি। শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করেছেন। বাকশাল প্রতিষ্ঠার কোন বাস্তবতা এখন আর নেই। অথচ বিএনপি বাকশাল ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত আছে।

তিনি বলেন, উদার গণতন্ত্র এবং সুশাসন-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দুটি এক সঙ্গে চাইলে হবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে কিছু ক্ষেত্রে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। আমি মন্ত্রী থাকা কালে, যখনই কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম, তখন হাইকোর্ট ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিতো।

অনেক মানহীন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ভেজাল ওষুধের ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু উচ্চতর আদালতের নির্দেশে বন্ধের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। এতে অনিয়মকারীরা উৎসাহিত হয়। জনস্বার্থে বিষয়টি আদালতকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে আমাদের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর কেউ করে না। ধর্মীয় অপপ্রচার বিএনপি-জামায়াত কয়েক যুগ ধরে করেছে। গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে শোভা পায় না। এতে মানুষ হাসে। আর অপপ্রচার না চালিয়ে সংসদে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাঠে-ময়দানে, কৌশলে নির্বাচনে সব জায়গায় তারা পরাজিত হয়েছে। তবে তারা নিস্তেজ হলেও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। তাই ১৪ দল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের চিন্তা পরিবর্তিত হয়নি। তারা আবার স্বরূপে ফিরে আসতে চাইছে। দুঃখের বিষয় তাদের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জামায়াত আবার ফিরে আসতে চাইছে। শুধু তাই নয়, তাদের জায়গা দখল করেছে হেফাজত। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে তার প্রভাব বিস্তার করছে। ধর্মনিরপেক্ষতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে সরকারকে এ দিকে নজর দিতে হবে।’ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্বাচন, রাজনীতি ও সামাজিকভাবে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি ফজলে হোসেন বাদশা। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের এনামুল হক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাসদের রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন