বিশাল বিস্তৃত গোরস্থানের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দেশবাসী : রিজভী

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯
রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

পাবলিক ভয়েস: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ট্র্যাজেডি দেশবাসীকে শোকে বেদনায় নির্বাক করে দিয়েছে। একটি বেদনাঘন শোক কাটতে না কাটতেই আরেকটি গভীর শোক আমাদেরকে আচ্ছন্ন করছে।

দেশবাসী যেন একটা বিশাল বিস্তৃত গোরস্থানের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ‘প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীদের মুখে উন্নয়নের মহাসড়কের বুলি শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ২২তলা ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম নেই অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলে চাপাবাজি চলছে।

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি, উঁচু তলার ভবনগুলোর কোনো নির্গমন পথ নেই, ভবনগুলোতে অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। সেটা তদারকির দায়িত্ব সরকারের। শুধু লোভ ও লাভের জন্যই বেআইনিভাবে এই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই কারণেই আন্তর্জাতিকভাবে রাজধানী ঢাকা বিশ্বে বসবাসের অযোগ্যের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।

তিনি আরও বলেন, এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার কোনো লেটেস্ট ডিভাইস নেই। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের দ্রুত পৌঁছানোর জন্য কোনো উন্নতমানের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। আগুন নেভাতে উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় মই পর্যন্ত নেই।

রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার জন্য কত যে আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। নিয়ে আসা হয়েছে সর্বাধুনিক বিপজ্জনক টিয়ারশেল, স্মোক গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, গোলমরিচ-স্প্রেসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র।

মন্তব্য করুন