সিটি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : মোশাররাফ

প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

পাবলিক ভয়েস: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ডিএনসিসি) জনগণ প্রত্যাখ্যান করে ভোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে মৎস্যজীবী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফ।

ডিএনসিসি নির্বাচন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা পরিষ্কার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মেয়র উপ-নির্বাচনে জাপার যিনি প্রার্থী ছিলেন তিনি বলেছেন, প্রায় ৪০টি কেন্দ্রে তিনি গিয়েছেন, সেখানে কোনো ভোটার দেখেননি। ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি।

অর্থাৎ জনগণ একাদশ ভোটে এই সরকার ও প্রশাসনের যে চেহারা দেখেছে, তাতে ভোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। এর প্রতিবাদ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ যে বিশ্বাস করে না, গতকালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে তারা সেটা প্রমাণ করেছে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়েছেন। এটা কোথা থেকে আসলো? আমাদের কাছে পরিষ্কার, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছিল, জনগণের ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এভাবে ৯০ শতাংশ ভোট তারা দিয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় গতকালও ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটাও সরকার তার সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে।

তিনি বলেন, এই যে দু’টি ঘটনা- জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সরকার আজকে (শুক্রবার-১ মার্চ) ভোটার দিবস পালন করছে! এটা অত্যন্ত হাস্যকর। ভোটাররা যেখানে ভোট দিতে পারে না, সেখানে আজকের স্লোগান হচ্ছে ‘ভোটার হন, ভোট দিন’। সরকারই আজকে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে ভোটার দিবস পালন করে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে, তামাশা সৃষ্টি করেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আমরা পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর খুব শিগগির এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে যাবো।

এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন