চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ২০ কক্ষ ভঙচুর

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯

নাজমুল হাসান, চবি: দোকানে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের লাঠিচার্জে দুই জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একটি মোটর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রায় ২০ টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা ও আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ানো দুটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসি। দুটি গ্রুপই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে শাহ আমানাত হলের সামনে একটি দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের শোয়েবুর রহমান কনক।

এই ঘটনা বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জানতে পেরে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে শোয়েবুর রহমান কনককে মারধর করে। পরে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানাত হলে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

সংঘর্ষ চলাকালে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীর মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এর পর গতকাল বুধবার রাতের ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের উপর হামলা করে এতে ৭ জন আহত হয়। এসময় বিজয় গ্রুপের কর্মীদের প্রায় ২০ টি কক্ষ ভাংচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  আনে।

আহতরা হলেন, সিএফসি গ্রুপের শোয়েবুর রহমান কনক এবং রহমত উল্ল্যাহ, বিজয় গ্রুপের ইমরান, ওসমান, ফয়সাল, মেহেদি হাসান এবং আবু সত্তর। এছাড়া গতকাল বুধবার রাতে পুলিশের লাঠিচার্জে দুইজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এর মধ্যে ইমরানের হাতের দুটি আঙ্গুল মারাত্বকভাবে জখম হওয়ায় তাকে চমেকে পাঠানো হয় বাকি সবাইকে চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক  চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির অর্থ সম্পাদক জাহেদুল আওয়াল বলেন, গতকালের ঘটনা মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পরে আজ আবার তারা আমাদের কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় সোহরাওয়ার্দী হলে আমাদের কর্মীদের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং তিনটা মত ল্যাপটপ এবং একটি আইফোন লুট করে। তবে সিনিয়রদের মধ্যে আলোচনা করে মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, তারা ক্যম্পাসে মাদকের ব্যাবসার বিস্তার ঘটাচ্ছিল তাই আমাদের কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে হল থেকে বের করে দেয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুম  বলেন, হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।

মন্তব্য করুন