

পাবলিক ভয়েস: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের ছাত্রসমাজকে আদর্শিক ও নৈতিকতার দিক দিয়ে উৎকৃষ্ঠ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরীর লক্ষে ত্রি-ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোন প্রকার অন্যায় ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়নি বরং প্রতি বছর পরিকল্পনাভিত্তিক দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও সামাজিক কার্যক্রমে এদের অংশগ্রহণ থাকে সরব। আদর্শ নেতৃত্ব তৈরীর ধারাবাহিকতায় চলমান দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় এরা।
কিন্তু একটি অশুভ মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাস-মাদক ও অনৈতিকতার অভয়ারণ্য করে রাখার পরিকল্পনায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। আমি সেসকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলবো, বাংলাদেশের ইতিহাসে ইসলামকে বাদ দিয়ে কারো রাজনীতি কল্পনা করা যায়না। আজ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঐতিহাসিক চরমোনাইর মাহফিলের তৃতীয় দিনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ এর সভাপতিত্বে ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।
তিনি আরো বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের অংগ্রহণে বাধা প্রদানের চেষ্টা করা হলে এটি জাতীয় ইস্যুতে রূপ নেবে। আমি আশা করবো সকল সংগঠনের অংশগ্রহণে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহর সঞ্চালনায় ছাত্র গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ বরকত উল্লাহ লতিফ, ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এম.হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।