

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিজিবির গুলিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের বর্তমানের অপশাসনের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর সভাপতি শেখ ফজলুল করিম মারুফ।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে দীর্ঘ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সীমান্তে গরু ইস্যুতে বাংলাদেশী হত্যা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। তবে এখন এর একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিএসএফের পাশাপাশি বিজিবিও এখন নিরস্ত্র নাগরিকের ওপরে গুলি করছে। নাগরিকের করের টাকায় প্রতিপালিত বাহিনীই যদি নাগরিকের ওপরে গুলি চালায় তাহলে হতাশার আর সীমা থাকে না।
আরও পড়ুন বিজিবির গুলিতে নিহতের স্বজনরা পেলেন ২০ হাজার করে টাকা
সীমানা রক্ষায় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সাথে সীমান্তবাসী নাগরিকদের সমন্বয় অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিপদের সময় কাঁধে কাঁধে লাগিয়ে বিজিবি ও নাগরিকগণ একসাথে শত্রু প্রতিহত করার কথা। ইতোপূর্বে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিডিআরের জোয়ানদের সাথে মিলে নাগরিকগণ হানাদারদের প্রতিহত করেছে এর নজির বিরল না। কিন্তু বর্তমানে পারস্পরিক সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়েছে যে, নাগরিকগণ নিজ দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করেছে। (সরকারী ভাষ্যমতে)।
অন্যদিকে রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদাহানি করতে করতে এতটাই নামিয়ে এনেছে যে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী সামান্যতেই নিজ দেশের মানুষের উপরে গুলি করছে।
পুরো ব্যাপারটায় আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ও অপশাসনের চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ পেয়েছে বলেই মনে করছি আমরা।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন পুরো বিষয়টার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাগরিকদের অযাথা হয়রানি করলে এবং অহেতুক অস্ত্র ব্যবহার করলে তার যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিৎ।
একই সাথে এই বিষয়টিও তদন্ত করতে হবে যে, কি কারণে সীমান্তবাসীর সাথে বিজিবির সম্পর্ক এতটা তিক্ত হয়ে উঠলো।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা রাজনীতি চাই না বরং সুষ্ঠু সমাধান চাই। এবং নিহত নাগরিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই। সেই সাথে নিহতদের পারিবারিক আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিহত পরিবার থেকে বিজিবিতে নিয়োগ দেয়া জোড় দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘আক্রমণটা পুরো পরিকল্পিত’ বললেন বিজিবি কর্মকর্তা
নিজেদের জীবন রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি চালায় বিজিবি