

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিন্যান্স বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুবহানকে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী হামীম তালুকদার সান। সে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামের কর্মী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আহত শিক্ষার্থী সুবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আলিম প্রিন্টার্সে প্রয়োজনীয় কাগজ প্রিন্ট করতে যান। পরে ছাত্রলীগ কর্মী সানও সেখানে কোন একটি কাজের জন্য যান। সান তার কাজটি আগে করিয়ে নেওয়ার জন্য দোকানীকে চাপ প্রয়োগ করেন।
দোকানদার তাকে বুঝিয়ে বললে তিনি তাকে থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে সুবহানের সাথে ছাত্রলীগ কর্মী সান বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং চপেটাঘাত করেন। সুবহান নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে চাইলে সান ও তার বন্ধুরা একযোগে ইট দিয়ে তার মাথায় ও পিঠে লাগাতার আঘাত করতে থাকে।
ইটের আঘাতে তার বাম চোখের উপরের ভ্রু ফুলে যায়। এ অবস্থায় সুবহান টলতে টলতে ভার্সিটির গেটের দিকে এগোতে থাকলে পিছন থেকে সানের সহযোগী এক বন্ধু তার মাথায় গোলাকৃতির লোহার পাত দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে ব্যাপক রক্তপাত হয়। আহত সুবহান রাস্তায় পড়ে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীর সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. মিতা শবনম জানান, আমাদের এখানে সুবহান নামের এক ছেলে কে নিয়ে এসেছিল। তার ভ্রু ও মাথায় মাঝে গভীর ক্ষত ছিল। তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেছি।
সুবহানের সাথে থাকা সৈকতসহ বেশ কয়েকজন তাকে সুমনা হাসপালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর গোলাম মোস্তফা বলেন, আজ শিক্ষক সমিতির নির্বাচন থাকায় আমরা ব্যস্ত ছিলাম। তবে অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি ও রাসেল (সাধারণ সম্পাদক) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আছি। এ ধরনের কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে জানাব।
উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকটি মারামারিতে সান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল, যা বিচারাধীন রয়েছে।