

বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আজ আমি ব্যারিস্টার সুমন কোনো অপরাধ করলে মিডিয়ায় প্রথমই আমার নাম চলে আসতো। মামুনুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিডিয়া সবকিছু সামনে নিয়ে আসছেন। তাহলে বসুন্ধরার বিষয়ে কথা বলেন না কেনো?
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে নেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভালো আইনজীবী না পান তাহলে আমি মুনিয়ার পক্ষে দাঁড়াতে চাই। তার পরিবারকে আমি আইনি সহায়তা দিতে চাই।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সবাই সবকিছু বলতে চায় কিন্তু বসুন্ধরার নামটি মুখে নিতে চান না। গণমাধ্যমসহ সব জায়গায়ই দেখলাম বসুন্ধারার নামটি নিতে কষ্ট হয়।
দেশের সব মানুষ এভাবে বন্দী থাকতে পারে না। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে হাজার হাজার জমি দখল, হত্যার অভিযোগ রয়েছে। অনেকগুলো জানা অভিযোগ রয়েছে, এর বাহিরেও অজানা যে কত অভিযোগ রয়েছে, কত মানুষের আর্তনাদ আর হাহাকার রয়েছে তা তো আল্লাহ মালুম।
তিনি বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার আগে হত্যাকান্ডের মামলা হওয়া দরকার। হত্যাকান্ড মামলা হলেই পরিপূর্ণ ও সুষ্ঠ তদন্তে বিষয়টি উঠে আসবে। এই ধরনের ধনী লোকদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। কেউ শত্রু কিনতে চায় না। মৃত্যু একদিন হবেই। হয় করোনায় হবে নতুবা অন্য কোনো কারনে মৃত্যু হবেই। এত বড় পাপের বিরুদ্ধে কথা বলবেন না এটা হয় না। প্রতিবাদ করতেই হবে।
ইসমাঈল আযহার/পিভি