

পাসপোর্ট পেলেন না জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। দেশের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এ অজুহাত দেখিয়ে তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি।
টুইটে এমনটাই জানালেন মুফতি। আর সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। তার প্রশ্ন, একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন?
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য স্থানীয় অফিসে আবেদন করেছিলেন মেহবুবা মুফতি। কিন্তু সিআইডির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। আর এ কারণেই তাকে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়নি।
এরপরই মেহবুবার টুইট, ‘আমি নাকি দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, সিআইডির এই রিপোর্ট দেখিয়ে পাসপোর্ট অফিস আমার পাসপোর্ট ইস্যু করেনি। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে কাশ্মিরের পরিবেশ এতটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে যে, পাসপোর্ট সম্বলিত একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক।’
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মিরকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়।
এরপরই মেহবুবা মুফতিসহ জম্মু-কাশ্মিরের একাধিক নেতাকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন পর গত বছরই মুক্তি পেয়েছিলেন মেহবুবা। তারপরও তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। এ নিয়ে সরবও হয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, সোমবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মির উপত্যকা। সোপোরে একটি পৌরসভায় হামলা হয়েছে। বৈঠক চলাকালীনই এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়।
ঘটনায় কাউন্সিলর রিয়াজ আহমদ এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা শাফকাত আহমদের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছেন সেনা সদস্যরা। হামলাকারীদের খোঁজে চিরুনি অভিযান চলছে।