

যাত্রাবাড়ি বড় মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসাননের বয়ানের শ্রুতিলিখন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি। তিনি আগে ‘মাদ্দা জিল্লুহুল আলী’ ছিলেন, আজ আমরা সবাই তাঁকে ‘রহমাতুল্লাহি আলাইহি’ বলছি। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার সময় এসেছে।
আল্লাহ কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত তকদির যা, সেটাই ভালো। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তাঁর সান্নিধ্যে নিয়ে গেছেন, কিন্তু আমাদের এতিম বানিয়ে গেছেন। আল্লাহ তায়ালা তার ভুল-ত্রুটি মাফ করে দিন। আমি আপনাদের কাছে তাঁর জন্য ক্ষমা চাইতেছি। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের আলা মকাম দান করুন।
ভীষণ এক ভয়ানক সময় মনে হচ্ছে। একের পর এক বুজুর্গ দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে কতজন মুরুব্বি চলে গেলেন। মনে হচ্ছে যেন একটি ঝাঁক এসেছিল তাদের জন্য। তারা একেক করে চলে যাচ্ছেন আর কতজন যাবেন, আমি জানি না। আল্লাহ যেন আমাদের সুন্নতের ওপর অবিচল রাখেন।
আল্লামা কাসেমি রহ. ছিলেন সর্বগুণের আধার। তিনি ইলমি মানুষ ছিলেন, সিয়াসি মানুষ ছিলেন। সিয়াসতের ময়দানে, ইলমের ময়দানে, তরবিয়তি ময়দানে তিনি ছিলেন একজন আলেমে রব্বানী। আল্লাহ তায়ালা তাঁর ফুয়ুজ ও বরকতে আমাদেরও সেই পথে চলার তওফিক দান করুন।
তাঁর পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধাভক্তি নিবেদন, তারা যেন ধৈর্যধারণ করেন। আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। আমরা যেন তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে পারি, তাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
সবশেষে ছোট্ট একটি কথা, এই জানাযায় এসে কেউ ছবি তুলবেন না। আপনারা তো সবাই জানেন, সবাইকে ছবি তুলতে নিষেধ করে দেন। যেখানে গোনাহ থাকে সেখানে আল্লাহর রহমত উঠে যায়। আর যেখানে গোনাহ নাই সেখানে আল্লাহর সাহায্য আসে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তওফিক দান করুন।
আই.এ/