কৃষকের কান্না থামান : অধ্যক্ষ ইউনুস

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ কৃষকের কান্না থামাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও দেশের কৃষকরা বাজারে গিয়ে উৎপাদন মূল্য না পেয়ে কান্নাকাটি করতে হলে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। দারিদ্রতা ও অশিক্ষা দূর হবে না। নগরের উপরে চাপ কমবেনা। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সুবিধাবঞ্চিত থেকে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে দেশে কৃষক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে দেশের কৃষকদের দুর্দশার কারণ ও করনীয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তেন-ভাতা সুবিধা বৃদ্ধির চেয়ে কৃষককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে লাভবান করতে সার, সেচ, বিজ বিনামূল্যে প্রদান করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, আজকে গণমাধ্যমে প্রদত্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডিজেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারনে হবিগঞ্জের কৃষকরা বিপাকে। অপর দিকে বগুড়ার সবজি চাষীরা খরচ তুলতে না পেরে বাজারে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। কৃষকের এ দুর্বিসহ অবস্থা দেশের ভবিষ্যতের জন্য কোনভাবে ভালো খবর নয়।

আলোচনায় ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, দেশের কৃষকরা আজ সংকটাপন্ন, তাদের কল্যানে কোন সরকারই বাস্তবমূখী কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও কৃষক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লোক দেখানো বক্তব্য দিয়ে ব্যাংক ডাকাত, টেন্ডারবাজ দুর্নীতিবাজদেরকে বিভিন্নভাবে সুযোগ করে দিচ্ছে। আপরদিকে কৃষকের উন্নয়নের জন্য আকর্ষণীয় বক্তব্য দিয়ে কার্যক্ষেত্রে কৃষক ও কৃষিকে ধ্বংস করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার যদি কৃষককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তবে কৃষক মুক্তির সনদ ইসলামী বৃষক-মজুর আন্দোলনের ১৫ দফা দাবী নিয়ে কৃষকরা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশব্যাপী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

আলোচনায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম ও ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।

মন্তব্য করুন