

আশরাফ আলী ফারুকী
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে সোহাগ নামে এক নিরীহ ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনাকে ইতিহাসের বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, চরমোনাই কওমিয়া শাখা। শনিবার (১২ জুলাই) বাদ আসর বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে চরমোনাইয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘বিশ্বাসের হাট’ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পুরো কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখর ছিল রাজপথ। ‘লন্ডন না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘বিএনপি’র কি গুণ? পাথর দিয়ে মানুষ খুন’ এমন নানা স্লোগান তুলে ধরেন ছাত্ররা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগ নামের একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। অথচ সেই ঘটনা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছাতে সময় লেগেছে দুই দিন। এতে মিডিয়া ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নেতারা অভিযোগ করেন, “গত বছরের জুলাই মাসেও আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে চরমোনাই থেকে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলাম। আজও সেই জুলাই মাসে এসে দেখতে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বর্বরতা ও খুনের সংস্কৃতি। যারা চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও দখলদারিত্বে ব্যস্ত, তারা রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করছে। আমরা আবারও মাঠে নামবো, আরেকটি জুলাইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে বক্তারা বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও ইন্টারিম সরকার উভয়ের কঠোর সমালোচনা করেন। বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলা হয়, “আপনারা নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না, তাহলে দেশ চালাবেন কিভাবে?” অন্যদিকে ইন্টারিম সরকারের উদ্দেশে বলা হয়, “তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর দুই মাসেই ৭০ হাজার কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছিল। অথচ আপনারা নয় মাসে নয়জনও বরখাস্ত করতে পারেননি।
বক্তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আর বসে থাকবে না। এবার জনগণই মাঠে নামবে, প্রয়োজনে রক্ত দেবে। কিন্তু এই বাংলাদেশকে আবারও অন্যায়, চাঁদাবাজি ও জুলুমমুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।”