সাক্ষাৎ চাইলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, পাত্তাই দিলেন না এরদোগান!

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০

সাক্ষাৎ চাইলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, পাত্তাই দিলেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

ফ্রান্স এবং মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ সফরে আসছেন মাইক পম্পেও। এই সফরে এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সেই আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে পম্পেওর এ মধ্যপ্রাচ্য সফরে একটি অবৈধ ইহুদি বসতি পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে, যার ঘোরবিরোধিতা করেছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাতাইয়াহ এবং ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস পরিকল্পিত ওই সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

জর্ডান নদীর পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে নির্মিত ইহুদি বসতি ‘স্যাগোট’ পরিদর্শন করবেন বলে কথা রয়েছে পম্পেওর। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা হবে কোনও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো কোনও ‘অবৈধ ইহুদি বসতি’ পরিদর্শন।

এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসওলু, পম্পেওর এই সফরকে খুবই ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে তুরস্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্ক যেসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। ফ্রান্সের পত্রিকা লে ফিগারো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন পম্পেও।

কারাবাখ যুদ্ধ, লিবিয়া পরিস্থিতি ও ভূমধ্যসাগরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি ইঙ্গিত করে পম্পেও বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং আমি এ ব্যাপারে একমত যে, তুরস্কের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড খুবই আক্রমণাত্মক। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যে মানুষের কোনও স্বার্থ নেই সেই বিষয়টি এরদোগানকে অনুধাবন করাতে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সামরিক সক্ষমতার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার উদ্বেগজনক। আঙ্কারার কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ জানালেও তুরস্কের ইরকিরলিক বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পম্পেও।

নাজমুল/

মন্তব্য করুন