

আবারও লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) লিবিয়ার খোমস উপকূলীয় এলাকায় ১২০ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। এর মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মারা যান অন্তত ৭৪ জন।
চলতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল বেড়ে গেছে। উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া এবং প্রতিবেশী তিউনিসিয়া থেকে বেশি সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খোমস উপকূলে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৭৪ শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছে। ওই দুর্ঘটনাকে বিধ্বংসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বন্দর নগরী খোমস। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮টি শরণার্থী বোঝাই নৌকা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন ডুবে মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুই শিশুও ছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত সাত বছরে ২০ হাজারের বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
আইওএম জানিয়েছে, চলতি বছর ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ৯শ মানুষ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে মারা গেছে। অপরদিকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে লিবিয়ায় ফিরে এসেছে ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
এনএইচ/পাবলিক ভয়েস