কাশ্মীরে গো-রক্ষকদের মস্তানি, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে পিতা পুত্র

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২০

ফাহিম ফাইয়াজ
পাবলিক ভয়েস

গো-রক্ষকদের হিংসার কবলে পড়ল জম্মু কাশ্মীরের এক প্রত্যন্ত গ্রামীণ পরিবার। এ পরিবারের ৪৮ বছর বয়সি এক পশুপালক এবং তার ছেলেকে গণপিটুনি খেয়ে বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।

কয়েকদিন আগে ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয়রা মুহাম্মাদ আসগরের কাছে এসে অভিযোগ জানায় তাদের গরু অন্যের জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে।আসগরের ছেলে সবটা শুনে তাদের গবাদি পশুকে ফিরিয়ে আনেন।

নিউজ ১৮ এর খবরে জানানো হয়, গোরক্ষকদের অভিযোগ, এই সময়েই আসগর নাকি নিজের একটি গরুকে আঘাত করেছিল, ফলে পশুটির গায়ে ক্ষত তৈরি হয়। আসগরের বিচারের জন্য গ্রামে সালিশ সভা বসে। তাকে সেখানে ডেকে পাঠান গ্রামপ্রধান।

মালিক আব্বাস নামক এক স্থানীয় সমাজকর্মী জানান, খুড়তুতো ভাই-সহ সেখানে আসগর পৌঁছতেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন গোরক্ষকরা। নির্মম ভাবে রাস্তায় ফেলে মারা হয় আসগরকে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে , গোরক্ষকরা মারতে মারতে স্লোাগান দিচ্ছেন, ‘দেশ কি গদ্দারও তো গোলি মারও শালো কো।’

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতার নইম আখতার, জম্মুর আদিবাসী নেতা গুফতার আহমেদ-সহ বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী পুলিশের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন।

আসগারের ভাই মুস্তক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ওকে মারতে অন্তত ৭০ জন জমা হয়ে গিয়েছিল,ওঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক, যে নির্মমতা ওকে সহ্য করতে হয়েছে তা এক কথায় অবর্ণনীয়।’

শুধু তাই নয়, মুস্তক জানাচ্ছেন, পশু নির্যাতনের অভিযোগে আসগরের ১৬ বছর বয়সি ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের বয়ান দূরত্বের কারণে এই ঘটনার খবর পেয়েও সময়ে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। তবে এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

কাশ্মীরে গরোকক্ষকদের দাপাদাপি নতুন নয়। ২০১৭ সালে পশুপাচারের অভিযোগে গুজ্জর-সম্প্রদায় ভুক্ত এক ৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধ এবং তার ছেলেকে গণপ্রহার করা হয়।

আই.এ/

মন্তব্য করুন