সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে বাংলাদেশে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক কম বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাকেই এখন আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ে সেটার বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করছি।
এসএসএফের সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং বাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফের উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজ ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি এই প্রত্যাশা করছি যে, শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং পেশাগত মান বিচারে এটি একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনী হয়ে উঠুক।
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মরণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে গোটা পৃথিবী আজ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত, তবে এই অন্ধকার ভেদ করে আমরা অবশ্যই এক নতুন দিনের সূর্যালোকে বেরিয়ে আসব। মনে রাখবেন, দুর্যোগেই মনুষ্যত্বের পরীক্ষা হয়। ভয়ংকর এই ভাইরাস মোকাবেলা করাও একটি যুদ্ধ। অদৃশ্য এই শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইনশাআল্লাহ আমরা জয়লাভ করবই।
চলতি ২০২০ সালকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ বছর আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ভয়ংকর এই করোনাভাইরাসের কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সেসব অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারছি না। জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আমরা স্থগিত করেছি।
তবে টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। আমি সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা তারই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এমএম/পাবলিকভয়েস
