

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে তিনি এই শোক প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও ১৪ দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
আজ শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি মারা যান মোহাম্মদ নাসিম।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির হতে শুরু করে।
এর আগে জ্বর ও কাশির মতো উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষায় মোহাম্মদ নাসিমের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় গত ৫ জুন সকালে তাঁর ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হলে সেখানেই তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ১৩ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। নাসিমকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। এরপর দুই দফা তাঁর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলেও লাইফ সাপোর্ট থেকে আর তাঁকে বের করা সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রটোকল অনুযায়ী কারো কোভিড-১৯ ধরা পড়লে উপসর্গ কমে এলে পর পর দুটি পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলে ধরে নেওয়া হয়, তাঁর শরীরে আর ভাইরাসের সংক্রমণ নেই।
নাসিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি ১৪ দলের মুখপাত্র। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে। ১৯৪৮ সালের ২ ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। তার দাম্পত্য সঙ্গী লায়লা আরজুমান্দ।
আরআর/পাবলিক ভয়েস