

করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও গণপরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধি দেশকে চরম সংকটে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার (০৮ জুন) সংগঠনের প্রচার সম্পাদক এইচ এম আবু বকর সিদ্দীকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম বলেন,
করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাড়া বৃদ্ধি সরকারের দায়িত্বশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দেশব্যপী করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন সরকারী আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব ভুলে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠে প্রমাণ করেছে তারা জনগণের প্রতিনিধি নয়,গায়েবি ভোটে নির্বাচিত জনবিচ্ছিন্ন কতিপয়শ্রেণীর স্বার্থের জন্য কাজ করে।
করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহণে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধি কর্মহীন ও সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির হাতে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর থেকেই চিকিৎসায় ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসায় বিড়ম্বনা, নমুনা প্রদানে বিড়ম্বনা, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অশালীন আচরণ এখন নিয়মিত অভিযোগে পরিনত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদারকি না করে তারা এ খাতে দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মচ্যুত মানুষগুলো লকডাউন শীথিল হওয়ার পর স্থানান্তরিত হতে গিয়ে গুণতে হচ্ছে অযাচিত ভাড়ার নির্যাতন। করোনায় বিপর্যস্ত দেশে এমন আচরণ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ‘য় পরিণত হয়েছে।
নগর দক্ষিণ সভাপতি ও সেক্রেটারি আরও বলেন, একদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্নীতি। যা অতীতের বালিশ ও পর্দা কেলেঙ্কারীকেও যেন হার মানিয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির যে খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে তা রীতিমত উদ্বেগজনক। ১২০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যের রেইনকোর্ট জাতীয় পণ্য কিনে পিপিই বলে হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭০০ টাকা। এক লাখ সেফটি গগলস ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি গগলসের দাম পড়বে ৫০০০ টাকা করে। শুধুমাত্র সেমিনারের জন্য ব্যায় ধারা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা ৫টি সফটওয়ারের ব্যায় ৫৫ কোটি টাকা। এসব দুর্নীতির খতিয়ান প্রমাণ করে সরকারের লোকজন দেশের এই অনিশ্চয়তার মাঝেও পুকুর চুরি নয় বরং সাগর চুরিতে ব্যস্ত রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস