
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের প্রবীণ সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত ব্যক্তি আমানুল্লাহ কবির মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহী ও ইন্না ইলাইহী রাজিয়ূন)
আজ বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাত একটায় বিএসএমএমইউ তে তিনি মারা যান।
আমানুল্লাহ কবীরের ছেলে শাতিল কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত একটার দিকে ডাক্তাররা জানান ‘তিনি আর বেঁচে নেই’
মৃত্যুকালে আমানুল্লাহ কবীরের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বর্ণিল সাংবাদিকতার জীবনে তিনি অনেক কিছু করেছেন।
সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
তিনি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে কঠোর ভাবে শরিক ছিলে।
এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন তিনি।
কর্মজীবনে তিনি সাড়ে চার দশকের সাংবাদিকতা জীবনে বাংলা দৈনিক আমার দেশ ও ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
তিনি কিছুদিন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন আমানুল্লাহ কবীর। তিনি এর আগে এস এম আলীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
সর্বশেষ তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি।
অসুস্থতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আমানুল্লাহ কবীরকে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয়েছিল ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আমানুল্লাক কবির ১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং জামালপুরের কৃতি সন্তান হিসেবে তাকে মূল্যায়ণ করা হয়।