

ঝালকাঠি আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল, জেল আপিল খারিজ করে দিয়ে এ রায় দেন।
উচ্চ আদালতে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত পিপির পরিবার। তার একমাত্র পুত্র তারেক ইবনে হায়দার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালত ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখার অপেক্ষায় আছি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওই রায় দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। পাঁচ আসামির মধ্যে বিল্লাল হোসেন পলাতক।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন হায়দার হোসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরদিন ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত পিপির ছেলে তারেক ইবনে হায়দার।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম তালুকদার। রায়ের ওই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পরই ওই বছরই আসামিদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। এছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিন আসামি আপিল ও এক আসামি জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মঞ্জুর করে আসামিদের আপিল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট ওই পাঁচ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।
আই.এ/