

পাবলিক ভয়েস : লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ভেতরে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার সেই ১০ যুবলীগ নেতা ১১ দিন পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
আজ রোববার দুপুরে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুনছুর আহমেদ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার ১২ নম্বর আসামি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ১০ জানুয়ারি একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না ১০ নেতার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনে মুক্ত নেতারা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন হ্যামেল কারী, যুবলীগ নেতা আকিব খান, রিয়াজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সাইফ উদ্দিন আফলু, আলী আজগর ও আশিক আহমেদ।
বিকেলে কারামুক্ত হয়ে তারা শহরের তমিজ মার্কেটের জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে আসেন। এ সময় জেলা যুলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফজলুর সঙ্গে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের মারামারি হয়। পরে তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে আ.লীগ নেতাকে ওই হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুবসহ ১০ নেতাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমানসহ ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ১০ যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।