সিটি নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপির ষড়যন্ত্র চলছে: শেখ ফজলে বারী মাসউদ

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২০

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা সিটি উত্তরে হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, নানা কারসাজি,ক্রটি, শংকা ও আস্থাহীনতার পরিবেশ থাক সত্বেও বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের মতামত অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম দ্বারা ডিজিটাল কারচুপির ষড়যন্ত্র চলছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসউদ বলেন, সারা বিশ্বে ইভিএমের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে যে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, তাতে নানা কারিগরি ক্রটি রয়েছে। বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিজের আঙ্গুলের ছাপে ২৫ শতাংশ ভোটারের ভোট দিতে পারেন। এতে ব্যাপক কারচুপির আশংকা রয়েছে।

তিনি বলেন, ইভিএমের বড় দুর্বলতা হলো, এতে ভেরিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল না থাকায় প্রদত্ব ভোট কাগজে রেকর্ড হওয়ার ব্যবস্থা নেই। ফলে ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা নিরীক্ষার সুযোগ নেই। ইভিএমে আস্থাহীনতার বড় কারণ হলো, তা আগে থেকেই এমনভাবে প্রস্তুত করা যায়, যাতে ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দিলেই তা পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে রেকর্ড হয়ে যাবে।

ভেরিফায়েড ভোটিং ফাউন্ডেশনের মতে, প্রোগ্রামিংয়ে ভ্রান্তি, যান্ত্রিক ক্রটি, বিদ্বেষাত্মক টেম্পারিং কম্পিউটারভিত্তিক ভোট প্রদান যন্ত্রের অন্তর্নিহিত দূর্বলতা। এত সব দূর্বলতা ও নগরবাসীসহ অংশীজনদের প্রবল আপত্তি ও আশংকা সত্বেও ইসির অতি উৎসাহ আমাদেরকে বিস্মিত ও অবাক করেছে।

মাওলানা মাসউদ আরও বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং ভোটাররাও ইভিএমে অভ্যস্ত নয়। নির্বাচন কমিশনের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে কমিশনের হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আমরা আশা করি কমিশন সে কাজটিই করবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, এসএম মাঈনুদ্দীন জাহাঙ্গীর, ডা, মুজিবুর রহমান, ইঞ্জি. গিয়াস উদ্দীন, মুফতি নিজামুদ্দীন, হাজী আলা উদ্দীন প্রমুখ।

আই.এ/

মন্তব্য করুন