৩৭ দিনেই চার্জশিট; শিগগিরই শুরু হবে বিচার

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯

বুয়েট শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায় আবরার হত্যা মামলার তদন্ত। চকবাজার থানায় মামলা হলেও তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সংস্থাটি মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিগগিরই শুরু হবে এই মামলার বিচার কার্যক্রম।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটায় আবরার ফাহাদকে। এর ফলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মুখ।

পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের নামে এই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভুত ৬ জন।

তদন্ত চলাকালে মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেফতারদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

মামলায় পলাতক চার আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।

গত ১৮ নভেম্বর চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সবশেষ গত ৩ ডিসেম্বর পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়।

আগামী ৫ জানুয়ারি মধ্যে ক্রোকের আদেশ তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এরপরও পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা না গেলে তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পরও তারা হাজির না হলে পলাতকদের অনুপস্থিত রেখেই মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন