
জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো দুনিয়া থেকে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলার লক্ষ্যে এহেন কাজ নাই যা করছে না। মুসলমানদেরকে বিভিন্নভাবে হারামকাজে লিপ্ত করতে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় সমাজ সেবার নামে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম সম্পূর্ণ ঈমান বিধ্বংসী ও শরীআহ বিরোধী কাজ। অবিলম্বে এই কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আজ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। বিবৃতিতে আরো স্বাক্ষর করেন, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুফতী বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, মুফতী শরীফ উল্লাহ সামদানী, মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মাওলানা জালাল হুসাইন চাঁদপুরি, হাফেজ গাজী আব্দুর রব প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওআইসি’র ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয় বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamicjurist of OIC) এর ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিল্ক ব্যাংককে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওআইসির ফতোয়া অনুসারে মিল্কব্যাংকে দুধ দান করা, মিল্কব্যাংক থেকে দুধ পান করা এবং মিল্কব্যাংক স্থাপন করা সবই হারাম। আর এর ওপরই উম্মাহর ইজমা ও ঐকমত্য। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুসলিম দেশে মিল্কব্যাংক গড়ে তোলার মতো অনৈসলামিক ও ঈমান বিধ্বংসী কোনো প্রজেক্ট মেনে নেয়া যায় না।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের মাধ্যমে বহু অজানা দুধ ভাই বোন হবে, যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম। অজ্ঞাতেই বহু হারাম বিবাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
সুতরাং হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক একটি হারাম ও শরীআহ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছে। এধরণের উদ্যোগ বাংলাদেশে চলতে পারে না। সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
/এসএস
