
আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের চোখের পানিতে ও আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হলো চরমোনাইয়ের অগ্রহায়ণের বার্ষিক মাহফিল। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।
মুনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য দোয়া করেন পীর সাহেব চরমোনাই। বিশ্বের সকল মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। প্রত্যেকটি মানুষ কেঁদে কেঁদে নিজ গুনাহ মাফির জন্য ব্যকুল হয়ে আল্লাহর দরবারে পানাহ চায়। এসময় আঁকাশ বাতাসও যেন কেঁদে ওঠে। তারাও যেন সুপারিশ করছে- হে আল্লাহ! তোমার বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দাও।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বিদায়ী বয়ান করেন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বয়ান শেষে সারাদেশ থেকে আগত মুসুল্লিদের আমলী হিসাব নেন পীর সাহেব চরমোনাই। চরমোনাই আগত মুরিদদের সবক পরিবর্তন ও নতুন সবক প্রদান করেন। এছাড়াও বিগত মাহফিল থেকে এই মাহফিল পর্যন্ত মৃত মুজাহিদদের তালিকা, মাহফিল ও চরমোনাই মাদরাসার আয় ব্যায়ের হিসাব উপস্থান করেন পীর সাহেব চরমোনাই।
এসময় নায়েবে আমীরুল মাজাহিদীন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মুজাহীদ কমিটি, বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষাবোর্ড এর নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর (১২ অগ্রহায়ণ) বাদ জোহর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা। মাহফিলের দ্বিতীয় দিন দেশে-বিদেশ থেকে আগত ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে ওলামা ও সূধী সামবেশ, তৃতীয় দিন ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসএস

