

গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের পর আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে এলো এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানান প্রশ্ন। কোত্থেকে কীভাবে আসামীদের মাথায় আইএস এর টুপি এলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে হলি আর্টিসান মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান এর মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি দেখা যায়। এরপর প্রিজনভ্যানে তোলার সময় অন্য এক আসামীকেও মাথায় আইএস এর টুপি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
প্রশ্ন উঠেছে কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনার পরও আসামীদের মাথায় কোথা থেকে এলো এই টুপি। অথচ আদালতে নেওয়ার সময় কারোর মাথায় এমন টুপি দেখা যায়নি।
এ ব্যপারে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে কি আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।’
রায় ঘোষণার পর দুপুরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে আইনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। এটি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আমি এখনই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে আদালতে হাজির করার সময় কারো মাথায় এমন টুপি ছিল না। কিন্তু বের হওয়ার সময় রাকিবুলের মাথায় এই টুপি দেখা যায়। এরপর প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আরো একজনের মাথায় এমন টুপি দেখা যায়। এ নিয়ে আদাতৈ পাড়ায় ধ্রুমজাল তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গ, বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে হলি আর্টিসান মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা মামলার দায়ে ৭ আসামীর মৃত্যুদণ্ড দেয়া। রায়ে একজনকে খালাস দেন বিচারক।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।
এছাড়াও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামী হলেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
/এসএস