আসামে মুসলিমদের ব্যাপক ধরপাকড়; পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে

প্রকাশিত: ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

ভারত সরকার জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ (এনআরসি) চুড়ান্ত করে আসামের মুসলমান নাগরিকদের ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে বাংলাভাষীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। আটক শত শত বাংলাভাষীদের বিভিন্ন সীমান্তপথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। কয়েক দফায় তিন শতাধিক বাংলাভাষীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাভাষীদের ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় ক্রমাগতভাবে বাড়ছে সীমান্তে উত্তেজনা।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) আতঙ্কে চলতি মাসের ১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২১৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবি প্রতিদিন যতজনকে আটক করেছে, অনুপ্রবেশ করছে তার চেয়ে অনেক বেশি।

স্থানীয়দের দাবি, মহেশপুর উপজেলার জুলুলী, খোসালপুর, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে প্রতদিন অবৈধভাবে ভারত থেকে রাতের অন্ধকারে শত শত নারী-পুরুষ প্রবেশ করছেন। এতে সহায়তা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সীমান্ত সূত্র জানায়, গতকাল শনিবারও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জন বাংলাভাষী নারী, পুরুষ ও শিশুকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। এছাড়া বেনাপোল, মহেশপুর, জীবননগর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ আরো কিছু বাংলাভাষী নারী, পুরুষ ও শিশুকে জড়ো করেছে বাংলাদেশে পুশ ইনের জন্য।

সূত্র জানায়, সীমান্তে বাংলাভাষীদের প্রতি বিএসএফ অমানবিক আচরণ করছে। শীতের রাতে সীমান্তের ফাঁকফোকর দিয়ে ঠেলে দিতে গিয়ে তাদের ঝোপজঙ্গলে খোলা আকাশের নীচে ঘন্টার পর ঘণ্টা রাখা হচ্ছে।

এদিকে জানা গেছে, ব্যাঙ্গালুরের একটি হোমে আটক ছিলেন ৫৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বনগাঁ সীমান্তপথে বাংলাদেশে পুশ ইনের জন্য আনা হচ্ছে। আনান্দবাজার পত্রিকাও এমন খবর প্রকাশ করে।

শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তাদের ট্রেনে আনা হচ্ছে। পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, ব্যাঙ্গালুর পুলিশের দাবি করেছে আটককৃতদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদেও তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে স্বীকার করেন এবং কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তারা ভারতে প্রবেশ করে। ওপারের সূত্র বলেছে, ৫৭ জন নয়, ২৭ জনের একটি দলকে সীমান্তে আনা হচ্ছে পুশ ইনের জন্য।

আই.এ/

মন্তব্য করুন