
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার মো. রনজু মিয়াসহ ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এটি ৪০তম রায়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয় এই পাচ আসামীর বিরুদ্ধে।
গত ২১ জুলাইয়ে মামলাটির শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রাখা হয়। এ মামলায় মোট আসামি ছিল ছয়জন। তাদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক আসামিরা হলেন- আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাজিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)। এদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেপ্তার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।
/এসএস

