
৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের উপত্যকার সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৪৪ শিশুকে আটক করার কথা স্বীকার করল স্থানীয় প্রশাসন। ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুদের বিভিন্ন হোমে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ কমিটিকে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
এসব শিশুদের কাউকেই বেআইনি ভাবে আটক করা হয়নি বলে দাবি সরকারের। রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি, পাথর ছোড়া, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানো এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টে যুক্ত থাকায় আটক করা হয়েছে ওই শিশুদের।
এমন অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী এনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তা সিংহ। তাদের অভিযোগ, উপত্যকায় বেআইনি ভাবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আটক করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
সমাজকর্মীদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটিকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এনভি রমণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিআর গাবাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি আলি মুহাম্মাদ মাগ্রের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ওই কমিটি। তারপরই বিষয়টি সামনে এসেছে।
কমিটির তাদের রিপোর্টে কার্যত নিজেদের মতামত পেশ করেনি। শুধুমাত্র পুলিশের বয়ান উদ্ধৃত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, বেআইনি ভাবে কোনও শিশুকে আটক করা হয়নি। বরং কোনও নাবালক আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেলে, আইন মেনেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই থেকে উপত্যকার সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোটা ভারতের। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং সমাজসেবামূলক সংগঠনের পক্ষ থেকে দমন-পীড়নের অভিযোগ তোলা হয়। এই দমননীতি থেকে শিশুদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ
উঠেছে নানা মহল থেকে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

