উদ্বিগ্নের কারণ নেই, মিয়ানমার থেকে আসছে পেঁয়াজ: বাণিজ্য সচিব

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
ফাইল ছবি

বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। তাই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে দেশের বাজারে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পরবে না। মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ নিয়ে দুটি জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে। এছাড়া তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। সুতরাং দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরদিন সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজের কক্ষে গণমাধ্যমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন সচিব।

সচিব বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে আমরা বসে নেই। এ নিয়ে সোমবার সকালেও বসেছিলাম। দেশি পেঁয়াজের মজুদ পরিস্থিতি জানতে ১০টি দলকে দশ জেলায় পাঠানো হচ্ছে; এসব জেলা থেকেই বেশিরভাগ পেঁয়াজ আসে।

তিনি বলেন, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ মিলিয়ে মজুদ এখন ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে রয়েছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ নিয়ে দুটি জাহাজ ইতোমধ্যে বন্দরে ভিড়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি জাহাজের পেঁয়াজ রোববার খালাস হয়েছে। আর একটি জাহাজ আজ খালাস হবে। এছাড়া তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। আসতে যতটা সময় লাগে।’

সচিব বলেন, ‘দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা পেঁয়াজের দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাদের কোনো যুক্তি এখানে নেই। যারা মজুদ করবেন এবং বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এখানে কম্প্রোমাইজ করার কোনো সুযোগ নেই।’ দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বছরে ১৭ থেকে ১৯ লাখ টনের মত।

চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব ও সহজলভ্যতার কারণে বেশিরভাগটা ভারত থেকে আসে। কিন্তু বৃষ্টি ও বন্যায় এবার পেঁয়াজের ফলন মার খাওয়ায় ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলারে বেঁধে দেয়।

ওই খবরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। এরপর রোববার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন