
রাজধানীতে কোনো জুয়ার আসর বসতে দেওয়া হবে না। অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনোর সঙ্গে যত প্রভাবশালীই জড়িত থাকুক না কেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে বলেছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে জুয়ার আসর বসতে দেওয়া হবে না। অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনোর সঙ্গে যত প্রভাবশালীই জড়িত থাকুক না কেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে।
জুয়ার আয়োজকদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ক্যাসিনো মালিক ও এর সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালী-ই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যদি ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ক্যাসিনোতে র্যাব অভিযান শুরু করেছে, পুলিশও করবে। এরইমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনোর তালিকা করা শুরু হয়েছে।
দল ও অঙ্গসংগঠনের ভেতর থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দেওয়ার পর রাজধানীতে অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে প্রথমেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রায় একই সময় ফকিরাপুল এলাকায় খালেদের নিয়ন্ত্রিত ইয়ং মেন্স ক্লাবে চালানো ক্যাসিনোতে অভিযান চলে। সেখান থেকে ১৪২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয় মাদকদ্রব্য ও জুয়ায় ব্যবহৃত নগদ টাকা। র্যাব এরপর রাতে আরো তিনটি ক্লাব কাম ক্যাসিনোতে অভিযান চালায়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস
		
