ব্রেক্সিট: পার্লামেন্টের ভোটে হারলেন বরিস জনসন

প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন( মাঝে)

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের জেরে মঙ্গলবার সরকারি দলের একজন এমপি-র দলত্যাগের ফলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। ফিলিপ লি নামের ওই এমপি বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ছেড়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এদিকে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’, অর্থাৎ কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপি শামিল হয়েছেন বিরোধী দলের কাতারে; আর এই বিদ্রোহের ফলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে হেরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা মঙ্গলবার পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন, যাতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করে একটি বিচ্ছেদ চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় পাওয়া যায়। বিবিসির খবরে বলা হয়, হাউজ অব কমন্সের ভোটাভুটিতে সেই প্রস্তাবের পক্ষে ৩২৮ ভোট পড়ে, আর বিপক্ষে পড়ে ৩০১ ভোট। এর মানে হল, ওই প্রস্তাব টিকে যাওয়ায় আপাতত বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ চলে গেল এমপিদের হাতে। এখন তারা ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার বিল নিয়ে এগোতে পারবেন।

গত জুলাইয়ের শেষে থেরেসা মের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রিত্ব বুঝে নেওয়া বরিস জনসন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে অবিচল। ব্রিটেনকে তিনি ‘নো ডিলের’ দিকেই নিতে চাচ্ছেন, যা নিয়ে বিরোধী দলের পাশাপাশি জনসনের নিজের দলেরও অনেকের আপত্তি আছে। এ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওই ভোটাভুটি হয়।

ভোটে হারার পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়, যারা দলের মতের বিরোধিতা করছে, তাদের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। বিবিসি লিখেছে, বহিষ্কার আর আগাম নির্বাচনের হুমকি বিদ্রোহী এমপিদের লাইনে আনতে পারবে বলেই জনসন সরকার আশা করছে।

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন মনে করেন, বরিস জনসন জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। নিজ দলের সদস্যের ভোটে নির্বাচিত বরিস গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ নন। তিনি রাজনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুসরণ করছেন। তার কারণে জনগণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চাকুরিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন