এনআরসি তালিকা বহির্ভূতরা রাষ্ট্রহীন বা বিদেশি কোনটাই নয়: ভারত

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
ফাইল ছবি

আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। উত্তর নেই অনেক প্রশ্নেরই। যারা বাদ পরেছেন তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশি ঝড়। সেই পরিস্থিতি বেশ কিছুটা ম্যানেজ করতেই রোববার এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভিশ কুমার।

এ বৈঠকে রভিশ কুমার বলেন, এনআরসি একটি পুরোপুরি আইনী-প্রক্রিয়া ও যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পরেছে তারা ‘রাষ্ট্রহীন’ বা ‘বিদেশি’ কোনটাই নয়। এনআরসি বিষয়ক মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিদেশি সংবাদমাধ্যমের একাংশে এনআরসি সংক্রান্ত কিছু মন্তব্য ঘোরাফেরা করছে যা পুরোপুরি ভূল। ভারত সরকার ১৯৮৫ সালে আসাম চুক্তি সই করেছিল যেখানে আসামের নাগরিকদের আগ্রহ ও ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়ার শপথ নেওয়া হয়েছিল।

আসাম অ্যকর্ড ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার, অসম সরকার, অল ইণ্ডিয়া আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অল আসাম জন সংগ্রাম পরিষদ মধ্যে সাক্ষরিত হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এই চুক্তিকে কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যার পরবর্তী ধাপে ২০১৫ সালে এই প্রক্রিয়াটির ফের আধুনিকীর করণ হয়।’

তিনি বলেন, এনআরসি একটি স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া। যেখানে সরকার শুধুই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পালন করছে। ‘অসমের এনআরসি তালিকাভুক্ত যারা নয় তাদের আটক করা হবে না ও তারা দেশের নাগরিকদের কোন অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হবে না। প্রয়োজনে সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। তবে যাদের তালিকায় নাম নেই তারা রাষ্ট্রহীন নয়’, ভবিষ্যৎ সংকট কাটাতে আশ্বস্ত করেছেন রভিশ কুমার।

শনিবার এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় জানা গিয়েছে ১৯.০৬ লক্ষ মানুষ তালিকার বাইরে রয়েছে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। প্রাথমিকভাবে ১০.০৬ লক্ষ তালিকার বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। তালিকায় রয়েছে ৩ কোটি মানুষের নাম। যারা বৈধ নাগরিক বলে চিহ্নিত হয়েছেন। যদিও আগেই জানান হয়েছিল যাদের নাম বাদ পড়বে তারা ফরেন ট্রাইবুন্যালে অ্যাপিল করতে পারবেন।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন