
জম্মু-কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞার জবাব চেয়ে ভারত সরকারকে নোটিশ দিয়েছে সেদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এক কাশ্মীরি সাংবাদিকের করা পিটিশনের ভিত্তিতে বুধবার (২৮ আগস্ট) আদালত এ আদেশ দেয়। জম্মু-কাশ্মির প্রশাসন ও কেন্দ্র সরকারকে ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। আর গত ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ঘটনার আগেরদিন থেকে ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে।
উপত্যকায় সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন কাশ্মির টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। নিষেধাজ্ঞার জেরে সংবাদপত্র ছাপা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অনুরাধা। তার আবেদনের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ও কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
শুনানির সময় কেন্দ্রের দ্বিতীয় শীর্ষ আইন কর্মকর্তা তুষার মেহতা আদালতে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন যেন সরকারকে আনুষ্ঠানিক কোনও নোটিশ পাঠানো না হয়। তিনি যুক্তি দেখান, শীর্ষ আদালতের নোটিশের কারণে ‘আন্তঃসীমান্ত প্রতিক্রিয়া’ হতে পারে। রাজনৈতিক নেতারা আদালতের এ নোটিশকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সে অনুরোধ খারিজ করে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি গগৈ বলেন, ‘আমরা আদেশ দিয়ে দিয়েছি, এর বদল হবে না।
এদিকে পিডিপি’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বাতিলের মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে তারা একটুও সরে আসবেন না। গত ১১ আগস্ট কাশ্মীরের সামরিক অস্থিরতার ভেতর গৃহবন্দি করা হয় কাশ্মীরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৩ নেতা ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকে। রাতেই শ্রীনগর ও জম্মুতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ করা হয় স্কুল-কলেজ। শ্রীনগরে কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হয়েছে কারফিউ। বন্ধ মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবাও। এবং এখনও উপত্যকা বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

