
মেজর মঞ্জুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মারা গেছেন কিনা তা জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরশাদ মারা গেছেন কিনা তা জানাতে এরশাদের মৃত্যু প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শরীফ এ এম রেজা জাকের। এছাড়াও মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়।
গতকাল সোমবার মামলটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তা দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যুর সনদপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
/এসএস

