
‘কাশ্মীরের মানবাধিকার ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। ১৯৯৫ সালেও সরব হয়েছিলাম এই মানবাধিকার রক্ষা ও পুলিশ লকআপে মৃত্যুর প্রতিবাদে। ২১ দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলাম।’ বিশ্ব মানবিকতা দিবসে সোমবার (১৯ আগস্ট) টুইট করে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য এরআগে, এক টুইটে সরাসরি তোপ দেগেছে মোদির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ছিল মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করে মমতা লেখেন, ‘ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রণাম জানাই। আজকের দিনে তার কিছু কথা মনে পড়ছে- ‘বন্দুক দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যার সমাধান ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত ও কাশ্মীরীয়াত এই তিনটি নীতি দ্বারা সম্ভব।’

গতকাল শনিবার কিছু দোকান খুলেছিল। রোববার শ্রীনগর ছিল একেবারেই জনমানব শূন্য। তবে সোমবার কাশ্মীরে ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) রোহিত কানসল। তিনি জানান, এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। কোনো জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। সেখানকার বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের দাবি, রাজ্য পুলিশসহ সেখানে প্রায় ৭ লাখ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এর আগ মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মিরে আধাসামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে নতুন করে সেখানে নিয়োজিত হয় আধাসামরিক বাহিনীর আরও ৮ হাজার সদস্য। এখন সেখানে প্রায় সাত লাখ সেনা মোতায়েন করা আছে বলে জানা গেছে। উপত্যকায় কারফিউ জারির পাশাপাশি টেলিফোন-ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও সেখানে বিক্ষোভ ঠেকাতে পারছে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

