
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে হুমকি দেয়ায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির উপদেষ্টা মো. আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বুয়েট থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী জানান, বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করায় আমাকে হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। তাই আদালতে আমি মামলা করেছি।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে বলা হয়, বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বাদী।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আইএসের কাছে এ বিষয়ে লাখা হয়েছে। কাজেই এবি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এ বি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এইবার বাদী বাঁচতে পারবেন না বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস
		
