
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের এক বাংলাদেশি নারী সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার এ কথা বলেন।
মিলার বলেন, আমি বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে অপরকে শ্রদ্ধা করে। প্রিয়া সাহার অভিযোগ সঠিক নয়, বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য নাম।
প্রসঙ্গ, গত ১৭ জুলাই বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে বেঁচে ফেরা লোকেদের সাথে ওভাল অফিসে বসে কথা বলেন। নিউ ইয়র্কের সল্ট লেক সিটির অনলাইন টেলিভিশন ‘এবিসি৪’ এর অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে এটি সরাসরি সম্প্রচার করে। বার্মা, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, সুদান, ইরাক, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের ২৭ জনের সাথে কথা বলেন ট্রাম্প।
এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখানে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বিলীন হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা বাংলাদেশেই থাকতে চাই। এখনো এখানে ১৮ মিলিয়ন (১ কোটি ৮০ লাখ) মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু থাকার জন্য সহযোগিতা করুন। আমি আমার ঘর-বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি-জমা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি’।
এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানতে চান, কারা জমিজমা দখল করেছে এবং কারা ঘরবাড়ি দখল করেছে। জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন এবং তারা সব সময় সরকারের শেল্টার পায়। সব সময় পায়’।
উল্লেখ্য, প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার স্বামী মলয় সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গার চরবানিরী গ্রামে।
/এসএস

