উগ্রপন্থি সংগঠন ‘ইসকন’ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীগ্রsপ কর্তৃক নিরস্ত্র নীরিহ ভারতীয় মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানীর ঘটনা যখন বিশ্বমুসলমানদের হ্নদয়ে আঘাত হেনেছে। সেই সময় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ‘ইসকন’ নামক হিন্দুত্বাবাদী উগ্র সংগঠন চট্টগ্রামে স্কুলের কোমলমতি মুসলিম শিশুদেরকে দেবতার নামে উৎসর্গিত প্রসাদ খাওয়ানোর অপতৎপরতা কোনোভাবেই বরদাশত করার মতো নয়। অবিলম্বে বাংলাদেশে ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্র, মহানগর ও সহযোগি সংগঠনসমূহের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৩০ জুলাই ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফা, নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মোস্তাকিম বিল্লাহ, শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলনসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরো বলেন, তথাকথিত ভারতে হিন্দু উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক ইতিহাসের জঘন্য হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন চালিয়ে ধর্মনিরেপেক্ষতার মুখোশ বিশ্ববাসীর সামনে উম্মোচন করেছে। এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বিশ্বমানবতাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। জাতিসংঘ ও ওআইসি রহস্যজনকভাবে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। এই জাতিসংঘ দিয়ে মুসলমানদের কোনো উপকার হবে না। প্রয়োজন মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশ হয়েও এখনো পর্যন্ত আনুুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ না করে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সাথে সাথে বিশ্ব মুসলিমকে এই মুসলিম আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে আহ্বান জানান।

দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতিতেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রেসিডিযাম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, দেশব্যাপী গুম, খুন, গলাকাটা, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। ফলে জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে। তিনি অবিলম্বে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবী জানান।

/এসএস

মন্তব্য করুন