
আন্তর্জাতিক কৃঞ্চ ভাবনা মৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’ কর্তৃক চট্টগ্রামের ১০ টি স্কুলে ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচীর নামে মুসলিম শিশু কিশোরদের মাঝে হিন্দু দেবতাদের উৎসর্গ করা প্রসাদ বিতরণ ও মুসলিম শিশু-কিশোরদের হিন্দুমন্ত্র পড়ানোর ঘটনাকে ‘অন্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন বিশিষ্ট আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার। এসময় তিনি দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতে পড়ে শোনান এবং বলেন, এক ধর্মের রীতি-নীতি অন্য ধর্মের মানুষের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া আমাদের সংবিধান সমর্থন করে না।
তখন হাইকোর্ট বলেন, ‘একটি এনজিও কোনো স্কুলে খাবার বিতরণ করতে পারে। কিন্তু জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে যদি প্রসাদ খাইয়ে মন্ত্র পাঠ করিয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যায়’।
হাইকোর্ট আরো বলেন, ‘আমরা কোনও ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। এর আগেও শবে বরাত নিয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আপনারা (আইনজীবীরা) যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আছে, স্থানীয় প্রশাসন আছে, তাদেরকে বলুন।’
এ পর্যায়ে আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আদালত আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। আমরা আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। সেখানে প্রতিকার না পেলে আবারও আপনাদের (আদালত) কাছে আসতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-‘ইসকন’ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ‘স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রসাদ খাওয়ায় এমন খবর ভাইরাল হয়। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচির আড়ালে গত ১১ জুলাই থেকেই তারা চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে ‘ইসকন’। ‘ইসকন’ কর্মীদের শেখানো মতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করে এ প্রসাদ গ্রহণ করে। শ্লোক-মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রসাদ গ্রহণে উৎসাহিত করায় অনেক শিক্ষার্থী তা গ্রহণে অস্বীকৃত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নজিরবিহীন কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে’।
/এসএস

