
ট্রাম্পের ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্যে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কংগ্রেসের ৪ নারী ডেমোক্রেট সদস্যকে উদ্দেশ্য করে ‘বর্ণবাদী মন্তব্য’ করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দলের যারা তার পক্ষ নিয়েছিলেন প্রতীকিভাবে তাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধি পরিষদে নিন্দা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে পক্ষে ২৪০ ও বিপক্ষে ১৮৭ ভোট পড়ে। মূলত পার্টি লাইনের ওপর ভিত্তি করেই এ ফল দাঁড়ায়। ডেমোক্রেটদের মধ্যে বাম-ঘরানার হিসেবে পরিচিত ওই ৪ সংখ্যালঘু নারী প্রতিনিধির নাম উল্লেখ না করে রোববারের টুইটে ট্রাম্প ‘যেসব ব্যর্থ ও অপরাধপ্রবণ দেশ থেকে তারা এসেছে, তাদের সেখানে চলে যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং গত ৩ দিন ধরে তা অব্যাহত থাকে। এ সময় রাজধানী ওয়াশিংটনে অন্যান্য বিষয় থেকে এ বিষয়টিই আলোচনায় প্রাধান্য পেলেও তা ট্রাম্পের সার্বিক জনপ্রিয়তায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের এক জরিপে লক্ষ্য করা গেছে। আগামী বছর ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদেশের কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট দলীয় নারী সদস্যদের অবমাননা করে চরম বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এক টুইটার বার্তায় বিদেশি বংশোদ্ভূত এসব কংগ্রেস সদস্যকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর পার্সটুডে’র।
ট্রাম্পের টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ডেমোক্র্যাট দলের নারী সদস্যরা প্রকৃতপক্ষে এমন সব দেশে থেকে উঠে এসেছেন যেখানকার সরকারগুলো বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ, দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য (সেসব দেশে যদি আদৌ কোনো কার্যকর সরকার থেকে থাকে)। এসব সদস্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী দেশ আমেরিকার জনগণকে বড় গলায় বলে বেড়াছেন সরকার কীভাবে চালাতে হবে।’
ট্রাম্প তার টুইটার বার্তায় আরও লিখেছেন, `তারা কেন ফিরে যাচ্ছেন না এবং নিজেদের অপরাধপ্রবণ দেশগুলোকে ঠিক করার কাজে সহায়তা করছে না? তারা নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে কীভাবে দেশ চালাতে হয় তা আমাদের সামনে প্রমাণ করুন। ওইসব দেশে আপনাদের ভীষণ প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব রওনা হয়ে যান।’
মার্কিন কংগ্রেসের বিদেশি বংশোদ্ভূত নারী সদস্যদের কয়েকজন হলেন সোমালিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ইলহান ওমর, ফিলিস্তিন থেকে আসা রাশিদা তালিব এবং পোর্টোরিকো বংশোদ্ভূত আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাজিও কর্টেজ।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

