‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়’ বাংলাদেশ; রিপোর্টটি ১৮ সালের

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট:  ‘বিশ্বের নতুন পাঁচ ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়’ বাংলাদেশ’ রিপোর্টটি ২০১৮ সালের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তবে সে রিপোর্ট ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিবেচনায় দেয়া হয়েছিল।

জার্মানের একটি গবেষণা সংস্থা ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ ২০১৮ সালের মার্চ মাসে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কম উপস্থিতি দেখানো হয়। যেখানে বিশ্বের পাঁচটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশ।

বিবিসি রিপোর্টে প্রকাশিত সেই জরিপে বলা হয়, বিশ্বের ১২৯ টি দেশে গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনের অবস্থা নিয়ে এক সমীক্ষার পর জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ তাদের রিপোর্টে এই মন্তব্য করে। রিপোর্টটি শুক্রবার (২৩ মার্চ, ২০১৮) প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে ১২৯ টি দেশের মধ্যে ৫৮ টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১ টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এই সমীক্ষা চালানো হয় যেসব দেশের ওপর, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি দেশের কথা—বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানছে না। এসব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল। এসব দেশের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই এটা ঘটেছে বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মন্তব্য করুন