
নাবালকদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল যাজকের বিরুদ্ধে! আবারও সমকামিতা মতো বিকৃত চাহিদার বলি হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ঘটনা কেরালার কোচির পেরুম্বাদমের একটি বয়েজ হোমের। অভিযোগ হোমের শিশুদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করত অভিযুক্ত ওই যাজক। নিগৃহীত শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার অভিযুক্ত ওই যাজককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, কেরালার কোচির পেরুম্বাদমের একটি বয়েজ হোমে বাস আবাসিক শিশুদের। এখানেই জোরপূর্বক শিশুদের ধর্ষণ করত যাজক। খবর কলকাতা নিউজের।
বিগত ৬ মাস ধরে এই অমানসিক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছিল আবাসিক শিশুরা। কিন্তু গত রাতে হঠাৎই সুযোগ বুঝে হোম ছেড়ে পালিয়ে যায় কয়েক জন বাচ্চা। তারপরেই প্রকাশ্যে চলে আসে বর্বরচিত ঘটনাটি। কি হয়েছিল? ছুটতে ছুটতে বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎই স্থানীয় এক এলাকাবাসীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায় তাদের। তাদের দেখে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। কি হয়েছে তা জানতে চাইলে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে বাচ্চারা। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন চেয়ে তারা ফোন করে বাড়িতে। বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা খুলে বলে তারা। জানান হয় পুলিশকেও। বাচ্চাদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবারই অভিযুক্ত ওই যাজককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনায় শিশুদের ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বছর চল্লিশের যাজক। তিনি যে ভুল করেছেন তাও স্বীকার করেছেন। ২০ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত যাজক। এই ঘটনায় মুখ খুলেছে হোমের বাকি বাচ্চারাও। বিগত ৬ মাস ধরে এই অমানসিক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছিল বলেও জানিয়েছে তারা। ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৭ ধারায় অভিযুক্ত যাজকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই সঙ্গে নাবালকদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে পকসো আইনে মামলা দায়েরও করা হয়। যাজককে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার আগে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

