
৪ঠা জুলাই বৃহস্পতিবার আমেরিকার মেরিকার স্বাধীনতা দিবস। আমেরিকার এই স্বাধীনতা দিবসে প্রথা ভেঙে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তবে ভাষণে রাজনীতির বদলে জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন ট্রাম্প৷প্রায় দুই বছর আগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফরাসি জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে সামরিক কুচকাওয়াজ ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অ্যামেরিকায়ও এমন প্রথা চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ অবশ্য পুরোপুরি রাজনীতিবর্জিত ছিল না৷ মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের প্রতি কড়া আচরণের কারণে সমালোচিত সীমান্তরক্ষী ও শুল্ক এজেন্সির আলাদা করে প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ এই মুহূর্তে অ্যামেরিকা সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তবে এর জন্য কৃতিত্বের দাবি করেন নি ট্রাম্প৷ তবে সমালোচকদের আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি নিজের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও নীতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিপক্ষদের আক্রমণ করা থেকেও বিরত ছিলেন ট্রাম্প৷
সামরিক কর্মকর্তাদের সংশয় অগ্রাহ্য করে চলতি বছর সামরিক সাজসরঞ্জাম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন তিনি৷ মাথার উপর দিয়ে এমনকি বি-টু স্টেল্থ বম্বারের মতো বোমারু বিমান উড়ে গেল, প্রকাশ্যে যেটি প্রায় কখনোই দেখা যায় না৷ ওয়াশিংটনের জাতীয় স্মৃতিশৌধকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের জন্য বেছে নিয়েও প্রথা ভাঙলেন ট্রাম্প৷
আইএ/পাবলিক ভয়েস

