‘এটা পাকিস্তান নয়, এখানে ফতোয়া দিয়ে লাভ নেই’ নুসরাতের বিরুদ্ধে দেওবন্দের ফতোয়ার বিরোধিতা

প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯
ফাইল ছবি

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস

সিঁদুর পরে শপথ নিতে গিয়েছিলেন সদ্য বিবাহিত সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। একজন মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে তিনি সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া নুসরাতের বিরুদ্ধে । সাধ্বী প্রাচীর পর আরও একজন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এই ফতোয়ার বিরোধিতা করেন।

লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় শাখা, সিঁদুর পরেছিলেন নুসরত। নিজের নামের শেষে কেন তিনি তার হিন্দু স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন। ওয়াইসিসহ ভারতের মুসলিম নেতারা বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন। ফতোয়া দেওয়া  হয়েছে দেওবন্দের পক্ষ থেকে। সেই ফতোয়ার প্রতিবাদ করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। এ বার রায়গঞ্জ থেকে ভোটে জিতে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন দেবশ্রী। নুসরতের শপথ নিয়ে ফতোয়া জারি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পাকিস্তান নয়, এটা ভারতবর্ষ। এখানে ফতোয়া দিয়ে কোনও লাভ নেই।’

সাংসদ দেবশ্রী রায়গঞ্জে বলেন, ‘ধর্মাচারণ সবার সাংবিধানিক অধিকার। ওনার যা মনে হয়েছে, সেটা বলেছেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যারা নুসরতকে ফতোয়া দিচ্ছেন, তাদের বুঝতে হবে ফতোয়া বন্ধ করার সময় এসেছে। যিনি সংসদে দাঁড়িয়ে সংবিধান মেনে শপথ নিচ্ছেন, তাকে ফতোয়া দেওয়ার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার, উপযুক্ত জায়গা থেকে নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।’

ইমাম মুফতি কাসাম বলেছেন, “ইসলাম কোনও অমুসলিম ছেলেদের বিয়ে করার অধিকার মুসলিম মহিলাদের দেয়নি। সেটা নুসরত করেছেন। শুধু তাই নয় বিয়ের পরে হিন্দু ধর্মের রীতি মেনে সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে ইসলামকে অসম্মান করেছেন।” একই সঙ্গে শপথ পাঠের সময়ে নুসরতের মুখে বন্দেমাতরম স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে। যা ইসলামে সমর্থন করে না। তিনি বলেছেন, “ইসলাম ধর্মে বন্দেমাতরম বলা যায় না। সাংসদে শপথের সময়ে সেটাই বলেছেন নুসরত। বিষয়টি ইসলাম বিরুদ্ধে।’

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন