পশ্চিমা গণতন্ত্রের মূল আদর্শ ‘উদারপন্থা’ অচল হয়ে পড়েছে: পুতিন

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৯
ফাইল ছবি

দশকের পর দশক ধরে পশ্চিমা গণতন্ত্রের মূল আদর্শ ছিল যে ‘উদারপন্থা’ – তা ‘অচল’ হয়ে পড়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাপানে জি-টুয়েন্টি শীর্ষ বৈঠকে রওয়ানা হওয়ার আগে ব্রিটিশ দৈনিক ফিনানসিয়াল টাইমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, উদারপন্থী আদর্শ এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। সস্তা জনপ্রিয়তার যে রাজনীতি ইউরোপ এবং আমেরিকাতে এখন বিস্তার লাভ করছে, ইংরেজিতে যাকে বলা হচ্ছে ‘পপুলিজম’ – তার প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ।

পুতিন বলেন, সমকামীদের নিয়ে রাশিয়ার তেমন কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু সমকামিতার কিছু দিক আমাদের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়। সবাই ভালো থাকুক, সুখী থাকুক, তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং কোটি কোটি মানুষের পারিবারিক মূল্যবোধকে খাটো করা যাবে না। কট্টর জাতীয়তাবাদী হিসাবে সমালোচিত হলেও, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার প্রশংসা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।  তবে বর্তমানের আমেরিকার ‘একলা চলো’ নীতির সমালোচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এর ফলেই ইরানের সাথে বিরোধ বাড়ছে এবং চীনের সাথে বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু হয়েছে।

পুতিন আরও বলেন, ‘মাল্টিকালচারালিজম’ অর্থাৎ নানা সংস্কৃতির এবং জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের সহাবস্থানের ভিত্তিতে সমাজ গঠনের যে নীতি পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বে নেওয়া হয়েছে – সেটি আর টিকবে না। “উদারপন্থীরা আর তাদের মতবাদ বা ইচ্ছা-অনিচ্ছা অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না।” তিনি বলেন, কোনো একটি দেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর স্বার্থের সাথে উদারপন্থী আদর্শের বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। আঙ্গেলা মার্কেল যেভাবে হঠাৎ করে জার্মানিতে ১০ লাখ শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছেন – সে প্রসঙ্গ তুলে পুতিন বলেন, এ ধরণের উদারপন্থী নীতির মূল কথা হচ্ছে অভিবাসীরা হত্যা করতে পারে, লুঠপাট করতে পারে, ধর্ষণ করতে পারে – কিন্তু তারপরও অভিবাসী হিসাবে তাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন