ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে মুসলমানরা বসে থাকবে না : আমীর, ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৯

ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সমর্থকদের আস্ফালন ও মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।

তিনি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন বন্ধে বাধ্য করতে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্বসংস্থাসমূহকে ভারত সরকারের উপর কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগের দাবি জানান। তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ভারতে এভাবে মুসলিম নিধন চলতে থাকলে বিশ্বের দেড়শ’ কোটি মুসলমান চুপ করে বসে থাকবে না।

আজ শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে সরসিংদীর পাঁচাদোনায় জামিয়া কারিমিয়া নূরে মদীনা মাদরাসার ছবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারতের বিজেপি সরকারের হিন্দুত্ববাদী নীতি ও মুসলিম বিদ্বেষের কারণে সেদেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা আজ চরম হুমকির সম্মুখিন। সম্প্রতি ঝাড়খন্ডে মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারীকে নৃশসংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মুসলিম বিদ্বেষের সর্বশেষ নজির। মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারীকে নৃশসংসভাবে হত্যার পূর্বে তাকে দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করা হয়। এরপূর্বেও ধর্মীয় কারণে মুসলমানদেরকে নৃশসংসভাবে হত্যার বহু ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাবরেজ আনসারীসহ সকল হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন তিনি।

মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশে দেশে তাগুতি ও আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলো “আল-কুফরু মিল্লাতুন ওয়াহিদা” হয়ে বিশ্ব থেকে মুসলমানদের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতেও মুসলমানরা হত্যা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনের “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো” সম্পর্কে প্রতিবাদ করে বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে ৯৫ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেছে। যে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান, সে দেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি চরম দুঃসাহস। এধরণের দাবি ইসলাম ও মানবতার শত্রুরাই করতে পারে।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোড কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামের ছাত্রীদের ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারণ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুলাঙ্গার ওই শিক্ষক অমাজর্নীয় অপরাধ করেছে। শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আর এই শিক্ষক যদি লম্পট হয় তাহলে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায়। এ জন্যই নৈতিক ও ইসলামী শিক্ষা সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। ইসলামী শিক্ষার অভাবেই মানুষ পশুর চরিত্র ধারণ করে, ফলে এদের দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মুফতী ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মনিরুজ্জামান হাজী ফারুক হোসেন চুন্নু, নিজাম উদ্দিন খানসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।

মন্তব্য করুন